
ফরিদপুর-৪ আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লাকে নিয়ে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়াচরা বাজারে এক বিশাল উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সহস্রাধিক মানুষের উপস্থিতিতে আয়োজিত এ উঠান বৈঠকটি মিলনমেলায় পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবুল কালাম মাতুব্বর এবং সঞ্চালনা করেন মাওলানা হেলাল উদ্দীন আবরার।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন
হাফেজ ক্বারী ওয়ালিউল্লাহ, অর্থ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক ও ইসলামিক সংগীত শিল্পী মাওলানা হেলাল উদ্দীন আবরারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রিন্ট–ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
বক্তব্য দেন আরও যারা
মুফতি শহীদুল ইসলাম, এএসপি (অব.) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমারত হোসেন, মাওলানা তৈয়বুর রহমান, আবুল কাশেম পচা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির হৃদয়ছোঁয়া বক্তব্য
মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা বলেন,
“আজকের এই উঠান বৈঠক আনন্দময় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক ওঠাপড়ার মাঝে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন দুটি কর্তন হওয়ায় মানুষের মনে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের একটিই দাবি—নিজেদের মাতৃভূমিকে অক্ষুণ্ণ রাখা। অথচ সেই ন্যায্য দাবির কারণে সাধারণ মানুষ আজ পুলিশি হয়রানির শিকার, রাতের ঘুম পর্যন্ত হারাম হয়ে গেছে।”
তিনি আরও বলেন,
“যুব সমাজ জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের অস্তিত্ব ও অধিকার যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়—সেদিকে আমরা কঠোর নজর রাখছি। ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে কোনো অন্যায় টেকে না। আমি সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবো।”
তিনি যোগ করেন,
“ইসলামী দলের কোনো কর্মী অন্যায়, লুটপাট বা সন্ত্রাসে জড়িত নয়। আমরা মানুষের বিরুদ্ধে নয়—মানবতার ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান করি।”
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধার অনুভূতি
আলগী ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন,
“অনেক দিন ধরে কোনো এমপি প্রার্থী আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নে আসেননি। এতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। আজ মিজানুর রহমান মোল্লা আমাদের এলাকায় এসে নির্মাণাধীন মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদ পরিদর্শন করায় গ্রামবাসী অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছে।”
শেষে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।