এবার সড়ক ও জনপদ বিভাগের ‘দেবীদ্বার -চান্দিনা’ আঞ্চলিক সংযোগ সড়কের ভাঙ্গা ও খানাখন্দে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে ‘দেবীদ্বার-চান্দিনা সড়কের কাচিসাইর এলাকায় স্থানীয় জনগনকে সাথে নিয়ে ওই মাছের পোনা অবমুক্ত করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
দেবীদ্বার-চান্দিনা সড়কটি শুধু দুটি উপজেলার সংযোগ সড়ক নয়, এটি ঢাকা-চট্রগ্রাম ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের সংযোগ সড়ক হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সাড়ে ১৪ কিলোমিটারের এই সড়ক সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি ভেঙে অসংখ্য বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গা আর বড় বড় গর্তের সড়কটি অতিক্রম করতে যাত্রীদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এবং একটু বৃষ্টি হলে এসব গর্তে পানি আটকে থাকে। এছাড়া দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে যাত্রীবাহি যানবাহন, বিপন্ন হচ্ছে মানুষের জীবন। হাসনাত আবদুল্লাহ এই প্রতিবাদের সময় এলাকাবাসীও তার সাথে যোগ দিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এই রান্তায় মানুষ আসা যাওয়া করে, কয়েক দিন আগে এই রাস্তায় একটা ছেলে মারা গেছে। রাস্তা ঠিক না করলে তার চেয়ে ভালো, রাস্তায় মাছ চাষ করুন, মাছ চাষ করলেও মানুষ কিছু মাছ খেতে পারবে।
হাসনাত আরো বলেন, দেবীদ্বারের রাস্তা ঘাট এতোটাই খারাপ অবস্থা যে মাছ ছেড়ে দিয়ে চাষ করার মতো। এখানে আপনারা জিয়ল (দেশি) মাছ ছাড়বেন। আমি মাছ ছাড়ছি আপনারাও ছাড়বেন তাতে যদি কিছু হয়।
উল্লেখ্য: দেবীদ্বার- চান্দিনা সড়কটি চলতি দরপত্র আহবানসহ ৩ বার দরপত্র আহবান করা হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. বিল্লাল হোসেন ও প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা এবং সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, দেবীদ্বার চান্দিনা সড়কটি সংস্কারে ১৩ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরে তৃতীয় দফা টেন্ডার আহবান করা হয়েছে।
প্রথমটি গত ৩ ফেব্রæয়ারী দরপত্র আহবান করলে এতে মাত্র একটি দরপত্র পড়েছে।
দ্বিতীয়বার গত ২ মার্চ আহবান করা হয়েছে, ১৭ মার্চ দরপত্র খোলা হয়েছে, এতে ২টি দরপত্র পড়েছে।
জুন মাসে তৃতীয়বারের মতো দরপত্র আহবান করা হয়েছে।
কেন এ অবস্থা হচ্ছে তার কোন জবাব তারা দিতে পারেননি।