1. live@www.dailyekusherbangla.online : দৈনিক একুশের বাংলা : দৈনিক একুশের বাংলা
  2. info@www.dailyekusherbangla.online : দৈনিক একুশের বাংলা :
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মুরাদনগরের বাঙ্গরায় ৩০ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার পীরগঞ্জে সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ রিয়েক্টিফাইভ উদ্ধার, আটক ২ বোয়ালখালীতে অস্ত্র-মাদকসহ তিন সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা গাঁজা সহ গ্রেফতার । পীরগঞ্জের তৃতীয় লিঙ্গের মাহি এমএ ১ম বর্ষের পরীক্ষা দিচ্ছেন! সাভারে সাবেক এমপি’র বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে নেতাকর্মীরা ধুনট-গোসাইবাড়ি সড়ক খানাখন্দে ভরা যেন মারণফাঁদ সংস্কারের অভাবে জনসাধারণের ভোগান্তি বিদেশে পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, নিঃস্ব কয়েকটি পরিবার মুরাদনগরে ১৫৬ জন  জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন ইসলামি ছাত্র শিবির চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ কে ডায়মন্ড সিমেন্টের গাছেরচারা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে–লায়ন হাকিম আলী পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই

নগরকান্দায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দায়িত্ব গাফিলতি ও প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মোঃ আবুল হাসান মিয়া নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫
  • ১৬৯ বার পড়া হয়েছে
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে দায়িত্ব গাফিলতি এবং সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ৪নং ফুলসুতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন মিয়া প্রায় একবছর ধরে জনসম্মুখে অনুপস্থিত। জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।

চেয়ারম্যানের এ অনুপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন ইউনিয়ন পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ সেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ জনগণ। একটি স্বাক্ষর বা কাগজপত্রের জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করছে এলাকাবাসী।

চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত থাকায় জনগণ প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ ,মৃত্যু সনদসহ অন্যান্য সরকারি সেবা নিতে এসে পরিষদে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তার এই অনুপস্থিতির ফলে স্থানীয়দের নানাবিধ ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

এদিকে, সম্প্রতি প্রায় ২ লাখ ৯৩ হাজার টাকার একটি মাটি ভরাট প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থের বিপরীতে মাত্র ২০ থেকে ২৫ ঝুড়ি মাটি ফেলে কাজ সম্পন্ন দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কাজটি যথাযথভাবে না করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

একজন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বলেন, একটা কাজের বরাদ্দ আসে, আর সেটার নামেই দেখিয়ে কয়েকবার টাকা তুলে নেয়া হয়। আমরা এসব অনিয়ম নিয়ে বহুবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। চেয়ারম্যান সরকারি অর্থে নিজের স্বার্থ দেখছেন, জনগণের না।

অভিযোগ রয়েছে, এটি কোনো একক ঘটনা নয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একই স্থানে একাধিক প্রকল্প দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন।

জনগণের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, চেয়ারম্যানের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা, দুর্নীতির যথাযথ তদন্ত এবং তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ আলী সরদার জানান, চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ কারণে তিনি অফিস করছেন না। ফলে পরিষদের অনেক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আরিফ হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়, ফলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানায় যায় , আরিফ হোসেন শুধু ইউনিয়ন চেয়ারম্যানই নন, তিনি নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া তিনি ফরিদপুর-২ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠ সহদর হিসেবেও পরিচিত। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি একজন প্রভাবশালী চেয়ারম্যান।

স্থানীয়দের মতে, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এমন আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। তারা বলেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে জনবিশ্বাস ভেঙে পড়বে এবং দুর্নীতির সংস্কৃতি আরও গভীর হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিনুর রহমান অন্য উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকায় অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।তার মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
এবিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার দবির উদ্দিন বলেন,ফুলসুতি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হরি মেম্বারকে শোকজ করা হয়েছে।এবং এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজ না করে বিল নেওয়ার সুযোগ নেই।অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট