
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের দিঘলকান্দা এলাকায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে এক অসহায় ও গরিব পরিবারের বসতঘরে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মাহাবুবুর রহমান দবির মোল্লার বিরুদ্ধে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘরে প্রবেশ করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছে আক্তার সেকের পরিবারটি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়—আক্তার সেকের বসতঘরের দরজায় তালা ঝুলছে। ভেতরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে পরিবারের সদস্যরা বাইরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিরা জানান, একটি অসহায় পরিবারের ওপর এ ধরনের আচরণ অমানবিক ও দুঃখজনক।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য
আক্তার সেক বলেন,
“এই জমি বাবার ক্রয়কৃত। পরে আমাদের নামে লিখে দেন। আমার ভাই দুই কাঠা জমি দবির মোল্লার কাছে বিক্রি করে। পুরাতন মাপে ঘর তুলেছি, স্থানীয় গণ্যমান্য মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু নতুন মাপে এক হাত জায়গা ঘরের ভেতরে পড়েছে বলে দবির মোল্লা ঘর ভাঙতে বলে। আমি রাজি না হওয়ায় সে আমার ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। পরিবার নিয়ে রাস্তায় ঘুরছি, ঘরে ঢুকতে পারছি না।”
মাহাবুবুর রহমান দবির মোল্লা বলেন,
“আমি বৈধভাবে জমি কিনেছি। তিনবার সালিস বসেছে—আক্তার সেক জায়গা ছাড়তে রাজি হয়ে আবার পিছিয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। ওরা বাড়ি আসে না, তাই তালা দিয়েছি যাতে তারা সমাধানের জন্য আসতে বাধ্য হয়।”
এলাকাবাসীর ভাষ্য—জমি নিয়ে বিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু এক পরিবারের ঘরে তালা লাগিয়ে তাদের বাইরে ফেলে রাখা মানবিকতা-বিরোধী ও আইনবহির্ভূত।
প্রশাসনের প্রতি দাবি
স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যাতে
উভয় পক্ষের বিরোধ সুষ্ঠু আইনি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি হয়
এবং অসহায় পরিবারটি দ্রুত নিজেদের ঘরে ফিরতে পারে।