
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দেওয়া নয়াকান্দি গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী দুলাল হাওলাদার (৪৫) তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাথি আক্তারের (২০) বিরুদ্ধে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ করেছেন।
দুলাল হাওলাদার থানায় দাখিল করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রায় তিন বছর আগে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক কালামৃধা ইউনিয়নের ভরিলহাট গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে সাথি আক্তারকে তিনি বিবাহ করেন। বিবাহের পর স্ত্রী সাথিকে বসবাসের জন্য জমি কেনার উদ্দেশ্যে নগদ ৫ লক্ষ টাকা দেন। এরপর মালদ্বীপে ফিরে গিয়ে নিয়মিতভাবে প্রতি মাসে টাকা পাঠাতেন— জমি ক্রয় ও সংসার খরচের জন্য।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিবাহের পর থেকেই সাথি আক্তার তার বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে ফোনে জানান যে, জমি কেনার জন্য জায়গা ঠিক করেছেন। সরল বিশ্বাসে দুলাল হাওলাদার প্রবাস থেকে মোট ১৫ লক্ষ টাকা পাঠান, এছাড়াও দুইটি দামি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার (মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা) পাঠান স্ত্রী সাথির কাছে।
দুলাল জানান, “আমি বাংলাদেশে ফিরে এসে দেখি সাথি আমার দেওয়া টাকা-পয়সা, ফোন ও গহনা নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে। এমনকি আমাকে জীবননাশের হুমকিও দিচ্ছে। আমি এখন আইনগত আশ্রয় নিয়েছি।”
সাংবাদিকের সরেজমিন পরিদর্শন
ঘটনার পর স্থানীয় সাংবাদিকরা সাথি আক্তারের গ্রামের বাড়ি ভরিলহাটের রফিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে সাথির মা জানান,> “এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি দুলাল নামে কাউকে চিনি না। আমার মেয়ে এমন কিছু করেনি।”
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাথি আক্তার বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় নেই এবং তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
দুলাল হাওলাদার ভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
দুলাল বলেন,> “আমি কষ্টার্জিত প্রবাস জীবনের টাকা পাঠিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমি চাই, আইন যেন এই প্রতারণার সঠিক বিচার করে।”