পরবর্তীতে মাউশি অধিদপ্তর দুই পক্ষকে শুনানির জন্য শিক্ষা ভবনে ডেকে নেন।কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শুনানি শেষ হলেও পরে সহকারী পরিচালক ( মাধ্যমিক -২) স্বাক্ষরিত চিঠিতে বরখাস্ত প্রাপ্ত প্রদান শিক্ষককে যোগদানের সহায়তা করতে চিঠি প্রদান করেন।
মামলা চলমান থাকায় বরখাস্ত কৃর্ত প্রধান শিক্ষকের যোগদান কার্যক্রমে কোন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকেন যাহা তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সালথা এর প্রতিবেদনে উল্লেখ্য।
প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহিদুজ্জামান সাহিদ একজন কুখ্যাত সাক্ষর জালিয়াত।সে বিভিন্ন সময় কমিটির সভাপতি, প্রতিনিধি, শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ইউএনও, মাউশি কর্মকর্তা সহ অসংখ্য মানুষের স্বাক্ষর নকল করে অসদুপায়ে তাঁর নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে চিঠিপত্র প্রদান করছেন। সাবেক সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজদা চৌধুরীর স্বাক্ষর নকল করে জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগে লিপিবদ্ধ।
প্রধান শিক্ষক সাইদুজ্জামান সাহিদ তিনি বিদ্যালয়ে প্রায় ৬ বছর না এসে বেতন ভাতা ভোগ করা সহ বিদ্যালয়ের এডমিন ও এমপিও এর ইএফটি পাসওয়ার্ড হস্তগত করেছেন।যা ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন রকম প্রতারণা করে চলছেন।বিদ্যালয়ের এডমিন ও এমপিও এর ইএফটি পাসওয়ার্ড সমূহ বিদ্যালয়ের অনুকূলে হস্তগত না হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পূর্ণ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট হতে পারে।
বোর্ড কর্তৃক বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি বিদ্যালয় অনুপস্থিত।
বিদ্যালযের সম্মান বজায় রাখতে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদ কে বিদ্যালয়ে আর দেখতে চায়না অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী,ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসী।
বর্তমান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অধেন্দু কুমার সরকার নিজে বিভিন্ন দপ্তরে প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদ এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।এছাড়া জীবনে নিরাপত্তা হীনতার জন্য থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।এছাড়া তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ এমদাদ ফকির। সালথা থানার জিডি নং – ১২৯ তারিখ ০৩/১০/২০২২।মোস্তফা সরোয়ার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহিদুজ্জামান সাহিদ এর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা গত ২০/১২/২০২০ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির বরখাস্তই চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ( ভারপ্রাপ্ত) অর্ধেন্দু কুমার সরকার বলেন,প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদ বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ,জাল জালিয়াতি,স্বেচ্ছাচারিতা,নিয়োগ বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারি সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগে কমিটি কর্তৃক বরখাস্ত হন।প্রায় ছয় বছর যাবত স্কুলে না এসে বেতন, ভাতা – সুবিধা ভোগ করছে।শিক্ষকদের হুমকি প্রধানসহ মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। বিদ্যালয় এর পাসওয়ার্ড তার কব্জায়, তার এহেন কার্যকলাপে তাকে আর বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দেখতে চায় না ম্যানেজিং কমিটি,শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী।
এবিষয় সাহিদুজ্জামান সাহিদ (প্রধান শিক্ষক) বলেন, আমি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি থাকায় বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আমাকে অন্যায় ভাবে বহিষ্কার করা হয়।সরকার পতনের পর আমি শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করলে বোর্ড আমাকে বকেয়া বেতন ভাতা সহ স্বপদে পূর্ণবহাল করে।কিন্তু ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক ও এলাকাবাসীর ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার চাকী বলেন, প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদ এর অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের তদন্তে আসলে উল্টো বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি,শিক্ষক ও এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ লিখিত আকারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগের কাগজপত্র আমাকে দেন।বিদ্যালয় আর প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদকে চান না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
৩০ আগস্ট ২০২৫