ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলা-মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত হয়ে ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে আসা জাতীয় বীর এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাকারিয়া পিন্টুসহ ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি ও পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা এবং ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী দোসর বিতর্কিত জুবায়ের হোসেন বাপ্পি’ কর্তৃক ঢাকায় তথাকথিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক এবং মানহানীকর সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে স্থানীয় প্রেসক্লাবে ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপি,পৌর যুবদলসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সফল সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা। এছাড়াও বক্তব্য দেন,ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এসএম,ফজলুর রহমান,বিএনপিনেতা আসানহাবিব,আমিনুর রহমান স্বপন,আতাউর রহমান পাতা,হুমায়ুন কবীর দুলাল ও ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর বিতর্কিত জুবায়ের হোসেন বাপ্পি’ কর্তৃক ঢাকায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে দেওয়া মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা বলেন, গত ১ আগষ্ট ২০২৫ খ্রিঃ তারিখে ঢাকা রিপোর্র্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলা-মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত হয়ে ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে আসা জাতীয় বীর এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী জননেতা মোঃ জাকারিয়া পিন্টুসহ ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি ও পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা,ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রদলের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক ও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী দোসর বিতর্কিত জুবায়ের হোসেন বাপ্পি’র তথাকথিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক এবং মানহানীকর। বাপ্পির তথাকথিত সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে দেওয়া মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার পেছনে কারা রয়েছেন তাদের মুখোশ উন্মোচনের জোর দাবী বলা হয়,গত ৫ আগষ্ট পরবর্তী ও পূর্ববর্তী সময়ে ঈশ্বরদীতে সুষ্ঠু ধারার রাজনৈতিক চর্চা বিএনপির নেতা মোঃ জাকারিয়া পিন্টুর হাত ধরেই শুরু হয়েছিল। সৌহার্দ্যের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছিলেন বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাকারিয়া পিন্টু এমপি পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেই শুরু হয় বিপত্তি। পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে জাকারিয়া পিন্টুর বিরুদ্ধে একের পর এক নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। বিভিন্ন টিভি টক-শো, আইন-শৃংঙ্খলা কমিটির সভাসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাকারিয়া পিন্টুর বিরুদ্ধে তিনি একের পর এক মিথ্যাচার ও কুৎসা রটাতে থাকেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, পদ্মা নদীর জলদস্যু ও নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার হাসানুজ্জামান কাঁকন বাহিনীর পক্ষ নিয়ে প্রকাশ্যেই পদ্মা নদীর বৈধ তড়িয়া মহলের ইজাদার এ.টি এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী কর্মী বান্ধব নেতা মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। পদ্মা নদী ও তীরবর্তী এলাকায় নিষিদ্ধ কাঁকন বাহিনীর একের পর হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনাকে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকা’র অপচেষ্টায় মত্ত হয়ে উঠেন হাবিবুর রহমান হাবিব। শুধুকি তাই ,সম্প্রতি কাঁকন বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট পদ্মার চরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করে কাঁকন বাহিনীর দুই সন্ত্রাসী, একাধিক অস্ত্র,মাদকদ্রব্য,মানুষের মাথার খুলি ও বিপুল পরিমাণ টাকাসহ বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। সেই বিষয়টিকেও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভিন্ন টিভি টক-শোতে হাবিবুর রহমান হাবিব জোর চেষ্টা চালিয়ে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। পদ্মা নদীর বালু উত্তোলনের বিতর্কিত ইজারাদার মোল্লা এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম মোল্লা। যিনি নাটোর জেলার নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বাগাতিপাড়া উপজেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-মামলার অন্যতম আসামী হওয়া সত্বেও তার পক্ষে অবস্থান নিতে কার্পন্য বোধ করেননি হাবিবুর রহমান হাবিব।
তারা বলেন, জাকারিয়া পিন্টুর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে প্রকাশ্যেই ওই সকল সন্ত্রাসী ও আওয়ামী দোসরদের পক্ষ অবলম্বন করেছেন তিনি। কোনভাবেই যখন জাকারিয়া পিন্টুর জনপ্রিয়তা হ্রাস করা যাচ্ছে না ঠিক সেই সময় তিনি দাশুড়িয়ার চিহ্নিত খুনি-সন্ত্রাসী শরিফুল ইসলাম তুহিনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে আওয়ামী দোসর বিতর্কিত জুবায়ের হোসেন বাপ্পি নামের এক বিতর্কিত ব্যক্তিকে সামনে দাঁড় করিয়ে সম্পূর্ণ্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রনোদিত এবং মানহানীকর তথ্য সাজিয়ে সংবাদ সম্মেলনের নাটক সাজিয়েছেন। কথিত ও সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও বালু মহল দখলকারী উল্লেখ করা শুধু মিথ্যাই নয়, চরম মানহানীকর বক্তব্য দেয়েছে ঐ বাপ্পি । সংবাদ সম্মেলনে ঈশ্বরদীর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং বিএনপির পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথাকে সন্ত্রাসের গডফাদার উল্লেখ করা হয়েছে যার সবই মিথ্যা। শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা, সরকারকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ও আয়কর দিয়ে ব্যবসা করেন। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিগত দিনে কঠোর আন্দোলন-সংগ্রামে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা। যা কারও অজানা নয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠলগ্ন থেকেই দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করে ঈশ্বরদীতে দলকে সু-সংগঠিত করেছেন তিনি। অপর দিকে বয়সে তরুন হলেও ঈশ্বরদীর ভঙ্গুর ও নেতৃত্ব শূণ্য বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে যে নেতা দ্বায়িত্বশীল ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি হলেও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসান। ৫ আগষ্ট পূর্ববর্তী সময়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসক বাহিনীর রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ঈশ্বরদীতে দূর্বার গণআন্দোলন তৈরি করেছিলেন তিনি। শুধু গণআন্দোলনই নয়; মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা-মামলায় সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তারা আরও বলেন,, ঈশ্বরদী শহরের বকুলের মোড় এলাকায় আবুল হোসেন এর ছেলে জুবায়ের হোসেন বাপ্পি বিগত ১৬ বছর পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। কলেজ পাড়া, বকুলের মোড় ও মশুড়িয়া পাড়া এলাকার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে বিগত ১৬ বছর যোগ-সাজস আর সখ্যতা গড়ে তুলেই এলাকায় দাপটের সাথে চলাফেরা করেছেন এই বাপ্পি। এছাড়াও নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সন্ত্রাসী রাকিবুল হাসান রনি’র অন্যতম প্রধান অর্থ সহযোগী ছিলেন এই জুবায়ের হোসেন বাপ্পি। বাপ্পির বাবা বিদেশে থাকায় 2008 সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তৎকালীন এক এসপি’র পরিচয়ে এই জুবায়ের হোসেন বাপ্পি ও তার মায়ের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ট ছিল। তাদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর কর্মসূচী ও প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে তাদের ‘এক ঘরে’ করে রেখেছিল। যা সেই সময়কার অনেক সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়। গত ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে ‘হঠাৎ’ করেই উদয় হয় এই জুবায়ের হোসেন বাপ্পি’র। গত ১৬ বছর বা তার আগে বাপ্পিকে কখনও বিএনপির রাজনীতি করতে কেউ দেখেননি। অথচ তারমত একজন নাম সর্বস্ব ব্যক্তি বিএনপি’র দূর্দিনের কান্ডারী জননেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ সিনিয়র ও ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করেন যা দুঃখজনক ছাড়া কিছুই নয় । ২০০৩ সালের ৯ আগষ্ট দাশুড়িয়াস্থ পাবনা সুগার মিলের সামনে তৎকালীন যুবদল নেতা আব্দুল খালেক ওরফে খালেক-মেম্বারকে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় গুলি করে হত্যা করে শরিফুল ইসলাম তুহিন নামের একজন সন্ত্রাসী। দেশের প্রচলিত আইনে সন্ত্রাসী ও খুনি তুহিনের ফাঁসি ও পরে আমৃত্যু করাদন্ড হয়। দীর্ঘ ২২ বছর কারাভোগের পর আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে গত ১৪ জুলাই তারিখে মুক্তি পেয়ে তিনি ঈশ্বরদীতে আসেন। এই সন্ত্রাসী তুহিনের হাত ধরেই ‘হঠাৎ উত্থান’ ঘটে বিতর্কিত জুবায়ের হোসেন বাপ্পি’র। অনেকে তাকে তুহিনের মুক্তির মূল ‘মাষ্টার মাইন্ড’ বলে প্রচার করেন। তাহলে এখন সহজেই বোঝা যাচ্ছে কোন ষড়যন্ত্রের খেলায় ঈশ্বরদী বিএনপির ‘প্রাণভোমরা’ জাকারিয়া পিন্টুসহ শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা ও মেহেদী হাসান এর নামে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে ? ঈশ্বরদীতে ঐকবদ্ধ বিএনপির ঘোষণা দিয়ে জাকারিয়া পিন্টু যে প্রসংশা কুড়িয়েছেন তা নষ্ট করতেই দাশুড়িয়ার কুখ্যাত খুনি শরিফুল ইসলাম তুহিন নানা ষড়যন্ত্র কষতে থাকে। মূলত; হাবিবুর রহমান হাবিব ও শরিফুল ইসলাম তুহিনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে জুবায়ের হোসেন বাপ্পি’র মত আওয়ামী দোসর এ ধরণের স্পর্ধা দেখানোর সাহস পেয়েছে। তারা সুকৌশলে এই অঞ্চলে আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বিএনপির রাজনীতি নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। বিএনপির কর্মী হিসেবে আমরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারি না। শরিফুল ইসলাম তুহিন কি কোন রাজনৈতিক বা আওয়ামীলীগের নেতাদের উপর হামলা বা মামলায় কারাগারে ছিলেন? অবশ্যই না। তিনি নিজ দলের একজন জনপ্রিয় নেতাকে হত্যার দায়ের দীর্ঘ ২২ বছর কারাগারে ছিলেন। তার কাছে বিএনপি’র নেতাকর্মী বা এলাকার লোকজন কখনই নিরাপদ ছিল না, এখনও নেই। এই বিষয়টি বুঝতে পেরে তুহিন নিজের স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। যার কাছে নিজ দলের একজন কর্মী নিরাপদ নয়, তার কাছে বিএনপি’র নেতৃত্ব কিভাবে নিরাপদ? প্রশ্ন রেখে বক্তারা বলেন, যে তুহিনের হাতে দাশুড়িয়ার অসংখ্য হত্যা, মারামারি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ।
১৯৮৮ সালে দাশুড়িয়া বাজারে ইউসুফ মালিথা ও ওয়াজ মালিথার ভাতিজাকে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ১৯৯৩ সালে ঢাকা-চাঁপাই মহাসড়কে শ্যামলী কোচে ডাকাতির ঘটনায় একজন ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সেই ডাকাতির ঘটনায় দাশুড়িয়ার শরিফুল ইসলাম তুহিনের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে রাজশাহীর পুঠিয়া থেকে ওই মামলায় শরিফুল ইসলাম তুহিনকে আটক করা হয়। সেই মামলায় তুহিনের ১৭ বছর কারাদন্ড হয়। ২০০১ সালে দাশুড়িয়াস্থ পাবনা সুগার মিলের সামনে শুকুর নামের অপর একজন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে শরিফুল ইসলাম তুহিনসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। ২০০৩ সালের ৯ আগষ্ট দাশুড়িয়াস্থ পাবনা সুগার মিলের সামনে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি মেম্বার আব্দুল খালেককে প্রকাশ্য দিনের বেলায় গুলি করে হত্যা করে। সেই মামলায় তুহিনের আমৃত্যু কারাদন্ড হয়। ২০০০ সালে হাবিবুর রহমান হাবিবের নির্দেশে শরিফুল ইসলাম তুহিন পাবনা-৪ আসনের সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম সরদারকে পাবনা থেকে ফেরার পথে পথরোধ করে গাড়ী থেকে নামিয়ে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এছাড়াও জমি দখল, বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ জ্ঞাত/অজ্ঞাত বহু অপকর্মের হোতা এই খুনি-সন্ত্রাসী শরিফুল ইসলাম তুহিন। ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব আওয়ামীলীগে সুবিধা করতে না পেরে বিএনপিতে যোগদান করেন। বিএনপিতে যোগদান করার পর থেকেই ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলায় দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়ে বিএনপি’র রাজনীতি। এখন পর্যন্ত কোন নির্বাচনেই হাবিবুর রহমান হাবিব ধানের শীষে একটি ভোট দিতে পারেননি। এমনকি ধানের শীষ মনোনীত কোন প্রার্থীর পক্ষেও ভোট দিতে এলাকায় আসেননি। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদীতে কোন আন্দোলন-সংগ্রামে দৃশ্যমান কোন ভূমিকা পালন করেননি তিনি। কিন্তু ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে ঈশ্বরদীতে ব্যাপক চাঁদাবাজী করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের ৫৩টি ইট ভাটা থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা চাঁদা নিয়েছেন। সবশেষে আওয়ামীলীগ থেকে আসা হাইব্রীড নেতাদের মুখোশ উন্মোচন ও তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী এবং সুষ্ঠু ধারার বিএনপি’র রাজনীতি প্রত্যাশ্য করে সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করা হয়।