কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন এ লাকায় এলজিইডি নির্মিত গ্রামীণ সড়কের পাশে নিয়ম বহির্ভূতভাবে খাল, পুকুর ও নালা খনন করায় দ্রুত ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়কগুলো। প্রশাসনের কঠোর আইন প্রয়োগের নির্দেশনা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তা কার্যকর হচ্ছে না— ফলে প্রতিনিয়ত ভাঙছে রাস্তা, ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার শুশুন্ডা সড়ক, পাহাড়পুর–পাঁচপুকুরিয়া সড়ক, নবীপুর–শ্রীকাইল সড়ক, চাপিতলা–বৃষ্ণপুর সড়ক, নহল চৌমুহনী–বাবুটি পাড়া সড়ক, মেটংঘর–শ্রীকাইল সড়ক, পীরকাশিমপুর–আন্দিকুট সড়ক ও দৌলতপুর–মাধবপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে খনন করা পুকুর ও খালের কারণে সড়কের মাটি ধসে যাচ্ছে। অনেক জায়গায় সড়কের অংশ পুকুরে ভেঙে পড়েছে, কোথাও কোথাও চলাচল প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারি রাস্তার পাশে ১০ ফুটের ভেতরে কেউ পুকুর বা নালা খনন করতে পারবে না। আর খনন করতে হলেও অন্তত ১০ ফুট দূরে ৪৫ ডিগ্রি ঢাল (স্লোপ) বজায় রেখে মাটি কাটতে হবে। এছাড়া এই কাজের জন্য স্থানীয় প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। অনুমতি ছাড়া কেউ খনন করলে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানার বিধান রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সড়কের পাশে অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের খাল, পুকুর, নালা বা মাটি কাটার কাজ করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত এ ধরনের কার্যক্রম আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ বলেন, সড়কের পাশে পুকুর কিংবা নালা খনন করার কোনো বিধান নেই। মানুষ আইন অমান্য করে কোটি কোটি টাকার রাস্তাগুলো পুকুর ও নালা কেটে নষ্ট করছে।
নিয়ম বহির্ভূত পুকুর খনন করার কারণে সড়কগুলো ভেঙে পুকুরে মিশে যাচ্ছে। আর এর দায় চাপানো হয় ইঞ্জিয়ারের ওপর।
এবিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুর রহমান বলেন, সড়কগুলো রক্ষায় জনসচেতনতা জরুরি। পাশা- পাশি জনপ্রতিনিধিদের এবিষয়ে দায়িত্বশীল হতে প্রশাসনিকভাবে বলা হয়েছে।
এছাড়াও সড়কের পাশে নিয়ম বহির্ভূত পুকুরগুলোর খননকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।