ফরিদপুরের নগরকান্দায় পা দিয়ে লেখা সেই অদম্য কলেজ ছাত্র জসিম পাচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র।
হাত না থাকায় আঙ্গুলের ছাপ না দিতে পারায় জাতীয় পরিচয় পত্র না পাওয়ার আশংকা সৃস্টি হয়েছিল। পা দিয়ে সাক্ষর করা দু' হাত না থাকা জসিম।
জন্ম থেকে দুই হাত না থাকা সত্ত্বেও অদম্য মনোবল আর পরিশ্রমের মাধ্যমে পা দিয়ে লিখে এইচএসসি পাস করেছে জসিম। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পরিচয়পত্র না পাওয়ায় সে নানা সমস্যার মুখে পড়েছিল।
এমন পরিস্থিতি জানতে পেরে অবশেষে জসিমের কপালে জুটতে যাচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র এনআইডি।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দবির উদ্দিন এর প্রচেষ্টায় হাত বিহীন জসিম পাবে জাতীয় পরিচয়পত্র এনআইডি কার্ড।
পা দিয়ে লিখে সাফল্যের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে জসিম মাতুব্বর (২৫) এখন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কিন্তু জীবন যুদ্ধে জয়ী অদম্য জসিম।
জন্ম থেকেই দু’টি হাত নেই তার, পা দিয়েই চলছে লেখাপড়া ও দৈনন্দিন কাজকর্ম।
নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসাও করছেন জসিম। কখনো ফলের ব্যবসা, আবার কখনো কাঁচামালের ব্যবসা করেন তিনি।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তামলা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের হানিফ মাতুব্বরের ছেলে জসিম।
হাত না থাকায় আঙুলের ছাপ দিতে পারছেন না তিনি।
ভুক্তভোগী জসিম বলেন, ‘এনআইডির জন্য আবেদন করে বিগত ২০২৩ সাল থেকে নির্বাচন অফিসে ঘুরছি কোনো কাজ হয়নি। তারা আমাকে বলেছিলো অনলাইনে আবেদন করতে, একাধিকবার আবেদন জমা দিয়েছি কিন্তু কাজ হয়নি। হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম কিন্তুু শেষমেশ নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দবির উদ্দিন এর সহযোগীতায় জাতীয় পরিচয়পত্র এনআইডি কার্ড পেতে যাচ্ছি।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাওন সাগর জানান, আমি কিছুদিন আগে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। যেহেতু ছেলেটির শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে, তার এনআইডি কার্ড করে দিতে যতটুকু যা করা যায় তা করব। এছাড়া জসিমের এনআইডি কার্ড করার সব রকম ব্যবস্হা সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবির উদ্দিন জানান, নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জসিমের এনআইডির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, জসিমের মতো প্রতিটি সংগ্রামী তরুণ তার প্রাপ্য অধিকার পাবে এবং সমাজে এগিয়ে যাবে নতুন অনুপ্রেরণা হয়ে।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং