1. live@www.dailyekusherbangla.online : দৈনিক একুশের বাংলা : দৈনিক একুশের বাংলা
  2. info@www.dailyekusherbangla.online : দৈনিক একুশের বাংলা :
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পীরগঞ্জে সুধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় জয়পুরহাট সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ইঞ্জেকশন উদ্ধার পাঁচবিবিতে এতিম শিশুদের মাঝে সাংবাদিকদের খেলার সামগ্রী বিতরণ ভাঙ্গার আজিমনগরে ইসলামী ৮ দলীয় জোটের কমিটি গঠন: নির্বাচনে শক্ত অবস্থানের ঘোষণা সাংবাদিক মোঃ আজিজ মাহফুজের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক প্রেস ক্লাবের গভীর শোক নগরকান্দায় জোরপূর্বক জমির ধান কেটে নেওয়ায় থানায় অভিযোগ **ভাঙ্গায় ক্ষুদ্র–প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে গম ও সার বিতরণ অব্যাহত ফরিদপুরের সদরপুরে ব্যাপক গণসংযোগে জনআস্থা অর্জন করছেন খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মিজানুর রহমান মোল্লা ডায়মন্ড সিমেন্ট বাজারে আনলো প্রথম এফসিআর এক্সপার্ট সিমেন্ট এক্সট্রা পাওয়ার

ফরিদপুরের সালথায় বাউশখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম

মোঃ আবুল হাসান মিয়া নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৬১ বার পড়া হয়েছে
  1. ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বাউষখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহিদুজ্জামান সাহিদ এর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষক- অভিভাবক – ম্যানেজিং কমিটি।
    গত ২০১৯ সালে অর্থ আত্মসাৎ, বৃত্তির টাকা দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা,বিদ্যালয়ের টিউশন ফি আত্মসাৎ,স্বাক্ষর জালিয়াতি, উৎসব ভাতা আত্মসাৎ, নারি কেলেঙ্কারী সহ নানান অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক মোঃ সাইদুজ্জামান সাহিদ (প্রধান শিক্ষক) বরখাস্ত হন যা পরবর্তীতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদপুরকে দেয়া হয়। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুসারে বোর্ড থেকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করেন।
    বোর্ড কর্তৃক চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত হওয়া স্বত্বেও কৌশলে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ২১/০৮/২০২৪ ইং তারিখে বেতন ভাতা সংক্রান্ত চিঠি আনেন। তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য উক্ত চিঠি চ্যালেঞ্জ করে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিট পিটিশন নং – ১০৯২১/২৪। আদালত ২৭/১০/২০২৪ ইং তারিখে বেতন ভাতা স্থগিতাদেশ জারি করেন।বর্তমানে মামলাটি চলমান। ১৪/১১/২০২৪ ইং তারিখে স্বপদে পূর্ণবহালে চিঠি দেন।এমনত অবস্থায় ম্যানেজিং কমিটি বাদী হয়ে উক্ত আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।হাইকোর্ট বিভাগ এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চান। যার ব্যাখ্যা অদ্যবধি দেয়া হয়নি।আদালত রুল জারি করলেও ব্যাখ্যা না দেয়ায় মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

পরবর্তীতে মাউশি অধিদপ্তর দুই পক্ষকে শুনানির জন্য শিক্ষা ভবনে ডেকে নেন।কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শুনানি শেষ হলেও পরে সহকারী পরিচালক ( মাধ্যমিক -২) স্বাক্ষরিত চিঠিতে বরখাস্ত প্রাপ্ত প্রদান শিক্ষককে যোগদানের সহায়তা করতে চিঠি প্রদান করেন।

মামলা চলমান থাকায় বরখাস্ত কৃর্ত প্রধান শিক্ষকের যোগদান কার্যক্রমে কোন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকেন যাহা তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সালথা এর প্রতিবেদনে উল্লেখ্য।

প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহিদুজ্জামান সাহিদ একজন কুখ্যাত সাক্ষর জালিয়াত।সে বিভিন্ন সময় কমিটির সভাপতি, প্রতিনিধি, শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ইউএনও, মাউশি কর্মকর্তা সহ অসংখ্য মানুষের স্বাক্ষর নকল করে অসদুপায়ে তাঁর নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে চিঠিপত্র প্রদান করছেন। সাবেক সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজদা চৌধুরীর স্বাক্ষর নকল করে জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগে লিপিবদ্ধ।

প্রধান শিক্ষক সাইদুজ্জামান সাহিদ তিনি বিদ্যালয়ে প্রায় ৬ বছর না এসে বেতন ভাতা ভোগ করা সহ বিদ্যালয়ের এডমিন ও এমপিও এর ইএফটি পাসওয়ার্ড হস্তগত করেছেন।যা ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন রকম প্রতারণা করে চলছেন।বিদ্যালয়ের এডমিন ও এমপিও এর ইএফটি পাসওয়ার্ড সমূহ বিদ্যালয়ের অনুকূলে হস্তগত না হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পূর্ণ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট হতে পারে।
বোর্ড কর্তৃক বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি বিদ্যালয় অনুপস্থিত।
বিদ্যালযের সম্মান বজায় রাখতে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদ কে বিদ্যালয়ে আর দেখতে চায়না অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী,ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসী।

বর্তমান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অধেন্দু কুমার সরকার নিজে বিভিন্ন দপ্তরে প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদ এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।এছাড়া জীবনে নিরাপত্তা হীনতার জন্য থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।এছাড়া তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ এমদাদ ফকির। সালথা থানার জিডি নং – ১২৯ তারিখ ০৩/১০/২০২২।মোস্তফা সরোয়ার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহিদুজ্জামান সাহিদ এর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা গত ২০/১২/২০২০ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির বরখাস্তই চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ( ভারপ্রাপ্ত) অর্ধেন্দু কুমার সরকার বলেন,প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদ বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ,জাল জালিয়াতি,স্বেচ্ছাচারিতা,নিয়োগ বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারি সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগে কমিটি কর্তৃক বরখাস্ত হন।প্রায় ছয় বছর যাবত স্কুলে না এসে বেতন, ভাতা – সুবিধা ভোগ করছে।শিক্ষকদের হুমকি প্রধানসহ মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। বিদ্যালয় এর পাসওয়ার্ড তার কব্জায়, তার এহেন কার্যকলাপে তাকে আর বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দেখতে চায় না ম্যানেজিং কমিটি,শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী।

এবিষয় সাহিদুজ্জামান সাহিদ (প্রধান শিক্ষক) বলেন, আমি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি থাকায় বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আমাকে অন্যায় ভাবে বহিষ্কার করা হয়।সরকার পতনের পর আমি শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করলে বোর্ড আমাকে বকেয়া বেতন ভাতা সহ স্বপদে পূর্ণবহাল করে।কিন্তু ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক ও এলাকাবাসীর ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার চাকী বলেন, প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদ এর অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের তদন্তে আসলে উল্টো বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি,শিক্ষক ও এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ লিখিত আকারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগের কাগজপত্র আমাকে দেন।বিদ্যালয় আর প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদকে চান না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

 

৩০ আগস্ট ২০২৫

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট