ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের গোয়ালদী গ্রামের লিঠু তালুকদারের বিবাহিত মেয়ে এক সন্তানের জননী হাজেরা বেগম তার স্বামী নাঈমুল্লা কে না জানিয়ে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সালে পারিবারিক ভাবে হাজেরা বেগমের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী উপজেলার মাজারদিয়া ইউনিয়নের হরিনা (গাংপাড়া) গ্রামের মৃত্য মুন্নু মোল্লার ছেলে নাঈম মোল্লার সাথে।
তাদের সংসারে আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ৪ আগস্ট সোমবার স্বামীর বাড়ি হরিনা থেকে বাবার বাড়ির বেড়াতে গোয়ালদী গ্রামে যায়। স্বামী নাঈম মোল্লা চার দিন পরে শশুর বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানকে আনতে বেড়াতে যায়। স্ত্রী ও সন্তানকে দেখতে না পেয়ে কোথায় গেছে শাশুড়ির কাছে জানতে চায়।কিন্তু স্ত্রী ও সন্তানের কোন খোঁজ না দেওয়ায় আশপাশে লোকজনের কাছে জানতে পারে তার স্ত্রীকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিছে শশুর শাশুড়ি। আড়াই বছরের কন্যাকে সাথে করে নিয়ে যায় দ্বিতীয় স্বামীর বাড়ি।
স্ত্রী সন্তানকে না পেয়ে নাঈম মোল্লা পাগল প্রায়।ছুটছে দিকবিদিক।কখনো মাতুব্বরদের কাছে। কখনো শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে।স্ত্রী ও কন্যা সন্তানের
বিষয় জানতে চায় শশুর শাশুড়ির কাছে।মুখ খুলছে না শশুর শাশুড়ি।উল্টো জামাই নাঈম মোল্লাকে গালিগালাজ হুমকি ভয় ভিতি দেখায় শশুর শাশুড়িসহ তাদের বাড়ির লোকজন।
নাঈম মোল্লা বলেন,দিনটি ছিল সোমবার। বাড়ি থেকে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বাবার বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে যায় আমার স্ত্রীর হাজেরা। চার দিন পর শশুর বাড়িতে তাদের আনতে গিয়ে জানতে পারি আমার স্ত্রী হাজেরা কে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিছে।আমার মেয়েকে সাথে করে নিয়ে গেছে।আমি কোন তালাকের কাগজপত্র পাইনি। শুনেছি আমার স্ত্রীকে তিন দিনের মধ্যেই বিয়ে দিয়ে দিছে।আমাকে না জানিয়ে আমার শ্বশুর শাশুড়ি আমার স্ত্রীকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করছে।এখন আমার সন্তানকে ফেরত চাই।সন্তানের কিছু হলে তাদের ছাড়বো না।আমার বাড়ি থেকে তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার সময় নগদ টাকা স্বর্ণ অলংকার নিয়ে গেছে। আমার দেওয়া জিনিসপত্র দিয়েই অন্য জায়গায় বিয়ে দেয় তার বাবা ও মা।আমি বাদী হয়ে নগরকান্দা ও সালথা থানায় মামলা করেছি।
এ বিষয়ে লিঠু তালুকদারের বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পাওয়ায় তাদের মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে হাজেরা বেগমের মা রোজিনা বেগম মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেয়ার কথা শোনা মাত্রই ফোন রেখে দেন।
গ্রামের অনেকেই বলেন জামাইকে না জানিয়ে লিঠু তালুকদার তার মেয়েকে অন্য জায়গা বিয়ে দিয়ে অন্যায় করেছে।জামাইয়ের সাথে প্রতারণা করেছে।