শিক্ষা কেবল বইয়ের পৃষ্ঠায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আন্তরিক সম্পর্ক, ভালোবাসা ও প্রেরণার মাধ্যমে পূর্ণতা পায়। এর জীবন্ত উদাহরণ পুলিয়া প্রাইমারি স্কুলের নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষিকা রত্না ম্যাডাম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠা ও ভালোবাসা দিয়ে বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন।
রত্না ম্যাডাম শুধু পাঠ্যপুস্তকের পাঠ দেন না, বরং শিক্ষার্থীদের মন-মানস গঠনে বিশেষ যত্ন নেন। তাঁর হাসিখুশি মুখ, কোমল আচরণ ও প্রাণবন্ত ক্লাস শিক্ষার্থীদের মনকে আনন্দে ভরিয়ে দেয়। ফলে শিশুরা পড়াশোনাকে কখনোই বোঝা মনে করে না, বরং প্রতিদিন স্কুলে আসতে তারা আগ্রহী হয়।
বিদ্যালয়ের সহকর্মী শিক্ষকরা জানান, রত্না ম্যাডাম সবসময়ই শিক্ষার্থীদের প্রতি মায়ের মতো যত্নশীল। তিনি প্রতিটি শিক্ষার্থীর সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং ধৈর্য সহকারে সমাধানের চেষ্টা করেন। শিক্ষার্থীদের মনে আত্মবিশ্বাস জাগানো, তাদের শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনের পথে পরিচালিত করা এবং নৈতিকতা শেখানো তাঁর শিক্ষাদানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
অভিভাবকরা বলেন, রত্না ম্যাডামের পড়ানোর ধরন অনন্য। তিনি আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করে শিশুদের পাঠে মনোযোগী করে তোলেন। তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা ও ভালোবাসার ফলেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে।
পুলিয়া প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, “রত্না ম্যাডাম আমাদের প্রতিষ্ঠানের এক উজ্জ্বল সম্পদ। তিনি যেমন দক্ষ শিক্ষক, তেমনি একজন উদার মনের মানুষ। তাঁর অবদান আমাদের বিদ্যালয় ও এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
রত্না ম্যাডাম নিজেও জানান, “শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের মনকে আনন্দময় ও সুন্দরভাবে গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। আমি চাই, আমার প্রতিটি শিক্ষার্থী সৎ, জ্ঞানী ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে উঠুক।”
সমাজে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এমন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষিকার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। রত্না ম্যাডামের মতো শিক্ষকরা প্রমাণ করে দেন— ভালোবাসা, ধৈর্য ও আন্তরিকতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন বদলে দেওয়া সম্ভব।