স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের এক বছর পেরিয়ে গেলে ও এখনো দাপটের সাথে বোয়ালখালীর পশ্চিম গোমদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ার দখল করে বসে আছে স্হানীয় মহিলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হোসনে আরা বেগম। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসলেও এ মহিলা নেত্রীর চেয়ার রক্ষায় খুবই তৎপর স্হানীয় প্রশাসন।অবস্থাদৃষ্টে এমনটাই ধারণা করছেন এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এ ইউনিয়নটির তৎকালীন চেয়ারম্যান আবু তাহেরের মৃত্যুতে পদটি শূণ্য হয়ে পড়লে দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করে পদটি ভাগিয়ে নেন ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হোসেনে আরা বেগম নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য তার গুণধর দুই পুত্রের প্রভাবে ২০২১ সালের ১৯ মে থেকে খুবই দাপটের সাথে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন হোসনে আরা।অভিযোগ রয়েছে দলীয় প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে মা-পুত্র তিনজনে মিলে চালাতো ইউনিয়ন পরিষদটি। বিরোধী মতও পথের বাসিন্দাদের হয়রানি,টাকার বিনিময়ে সেবাসহ উন্নয়ন বরাদ্দের পুরো টাকাটাই ভাগাভাগি হতো এ তিনজনের মধ্যে। জুলাই বিপ্লবে গত বছরের ৫ আগস্টে তার দুই পুত্র গা ঢাকা দিলেও মায়ের দাপটে ছ্বেদ পড়েনি একটুও। পর্দার আড়াল থেকে
দুই পুত্রের প্রভাব কাজে লাগিয়ে এখনো আকরে রয়েছে চেয়ারটি। ফলে সেবা নিতে আগের মতই এখনো হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সেবা প্রত্যাশীদের,উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে পুরো এলাকা স্হানীয় প্রবীণ বিএনপি নেতা হারুনর রশীদ বলেন মেয়াদোত্তীর্ণ এ ইউনিয়ন পরিষদে একজন যোগ্য প্রশাসক নিয়োগে সরকারি নির্দেশ থাকলেও স্হানীয় প্রশাসন কেন এ নেত্রীর গদি রক্ষায় গড়িমসি ও নানান তালবাহানা শুরু করে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না। ফারুক সুজন নামের অপর এক বাসিন্দা বলেন গত প্রায় দেড়যুগ ধরে উন্নয়ন ও সেবা বঞ্চিত এ ইউনিয়নে একজন যোগ্য ও নিরপেক্ষ প্রশাসক নিয়োগের ব্যাপারে আমরা বার-বার দাবী জানিয়ে আসছি কিন্তু স্হানীয় প্রশাসন এ নিয়ে কেন রহস্যজনক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে জানিনা। উপজেলা নির্বাচন অফিসার তনুশ্রী গোস্বামী বলেন- এ নিয়ে আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে একটি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রহমত উল্লাহ বলেন- একটি অভিযোগ পেয়েছি তাহা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তদন্ত করছেন রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্হা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।