নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের শোভানগঞ্জ এলাকায় রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ৫ থেকে ৭ দিন আগে শোভানগঞ্জ বাজার থেকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার দু'পাশে রোপণ করা নিম ও মেহগনি জাতীয় প্রায় ২০ থেকে ২৫টি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। গাছগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গোপনে গাছগুলো কেটে নেওয়া হয়েছে এবং এর পেছনে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাত রয়েছে। গাছ কাটার সঙ্গে সরাসরি জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলামের ছোট ভাই মো. তৈয়ব আলী, স্থানীয় নাসির উদ্দিনের ছেলে লেবু মিয়া, মৃত শফির উদ্দিনের ছেলে ছামসুল হক ও ভ্যানচালক এনামুল ইসলাম।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল রহিম, নুর মোহাম্মদ ও আজগার আলী জানান, “গাছগুলো বহু পুরোনো ছিল। রাস্তায় ছায়া দিত। হঠাৎ একদিন দেখি সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এটা শুধু পরিবেশের ক্ষতি নয়, সরকারি সম্পদ নষ্টও বটে।”
স্থানীয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সুধাংশু কুমার রায় বলেন, “আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়ে তদন্ত করেছি। সত্যিই প্রায় ২২ থেকে ২৫টি গাছ কাটা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”
বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাঁকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, “গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা হতে পারে।”
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি।
এদিকে, স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা প্রশাসনের কাছে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। পাশাপাশি কাটা গাছগুলোর মূল্য সরকারি কোষাগারে আদায়ের দাবি জানান তারা।
বার্তা প্রেরক
আলমগীর হোসেন
প্রতিনিধি-দৈনিক একুশের বাণী।
01747899012