ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়ন এর সাভার গ্রামে চলাচলের রাস্তা কেটে ভাই ও প্রতিবেশীর সাথে শত্রুতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়ন এর সাভার গ্রামের মৃত জয়নদ্দিন মিয়ার ছেলে মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মিয়া (৪৬) তার বড় ভাই মোঃ নেছার আলী মাতুব্বর (৫৬) এর নিকট থেকে প্রায় ১ যুগ আগে ৩ লাখ টাকা বাজার মূল্যে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অগ্রীম দেয় এবং বাকি ৫০ হাজার টাকা পরে দেয়ার কথা সিদ্ধান্ত হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।এমনত অবস্থায় কয়েকটি বাড়িতে চলাচলের জন্য উক্ত জমির উপর দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে মাটির একটি রাস্তা করা হয়।
আশপাশের কয়েক বাড়ির লোকজনের বাড়ি থেকে হাটবাজার, স্কুল - কলেজ, অফিস - আদালতে, ফসলের মাঠে যেতে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বিবাদী মোঃ নেছার আলী মাতুব্বর গংরা দলবদ্ধ হয়ে রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি করে। রাস্তার উপর বাঁশ ফেলে কলা গাছ লাগিয়ে পথ আটকিয়ে দেয়। যে কারণে রাস্তা দিয়ে বাড়ি লোকজন কেউ চলাচল করতে পারছেনা।
রাস্তা থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া সহ মারধর করার হুমকিতে আইনের আশ্রয় নেয় মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মিয়া।তিনি ইউপি চেয়ারম্যান, ইউএনও, থানায় মোঃ নেছার আলী মাতুব্বর সহ ৯ জনের নামে অভিযোগ করেন।
ছোট ভাই মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০১৪ সালে বড় ভাই মোঃ নেছার আলী মাতুব্বর (৪৬) এর নিকট থেকে রাস্তা করার জন্য ০১.৫০ শতাংশ জমি কিনি। ৩ লাখ টাকার মধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ভাইয়ের হাতে নগদ দেই এবং বাকি ৫০ হাজার টাকা কয়েক মাসের মধ্যে দিলে জমি দলিল করে দিবে। আমি ঢাকায় থাকি পরিবার নিয়ে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসি । ভাইকে টাকা নিয়ে জমি দলিল করে দিতে বলি কিন্তু আজকাল করে কালক্ষেপন করে।ক্রমেই জমির দাম বেশি হওয়ায় জমি লিখে না দিয়ে উল্টো
ভাই সহ তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঁটা, ঢাল, সুরকি, কোদাল নিয়ে রাস্তার মাটি কেটে তার বাড়িতে নিয়ে গেছে। রাস্তা থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ায় আমরা সহ আমাদের প্রতিবেশী কেউই রাস্তা দিয়ে যেতে পারছিনা।আমি বাদী হয়ে আমার ভাই সহ তাদের সহযোগীদের নামে থানায় অভিযোগ সহ আদালতে তাদের নামে মামলা করেছি।
এবিষয় বিবাদী মোঃ নেছার আলী মাতুব্বর বলেন, আমার কেনা জমির উপর দিয়ে আমার ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক তার লোকজন এনে জোরপূর্বক রাস্তা করে।আমি সে সময় বাধা দিতে পারিনি। এখন রাস্তার মাটি কেটে জায়গা পরিস্কার করছি।টাকা নেওয়া ও জমি বেচাকেনা করার কোন কথা হয়নি।