বগুড়ার শেরপুরে মোছাঃ ঊমিলা (এমিলা বেগম) নামে এক নারীর ক্রয়কৃত একই জমি বার। রবার জোড়পূর্ব্বক দখল চেষ্টার ঘটনায় চার জনকে অভিযুক্ত করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলো উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের মৃত নবীর হোসেনের ছেলে মোঃ সোবহান (৬০) এবং তাঁর তিন ছেলে রুবেল (৩০), সোহেল (২৬) ও সুজন (২৩)।
ভুক্তভোগী এমিলা বেগম (৪৫) মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ গ্রামের বিপ্লবের স্ত্রী।
শেরপুর থানা পুলিশ এবং আদালতকে তোয়াক্কা না করে অভিযুক্তদের ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় আতঙ্ক
উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছেন বলে দাবী ভুক্তভোগী পরিবারের।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, তিন বছর পূর্বে দড়িমুকুন্দ মৌজায় ৬৩ নং খতিয়ানে ৪০৯ দাগে ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন উমিলা এবং তাঁর স্বামী বিপ্লব। খাজনা খারিজকৃত ওই সম্পত্তি বারংবার বেদখল দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত সোবাহান গং।
এমিলা বেগম জানান, বেশ কিছুদিন পূর্বে আমাদের ওই জমি ক্রয়ের প্রস্তাব দেয় সোবাহান ও তাঁর ছেলেরা। কিন্তু জমি বিক্রিতে আমরা রাজি না হওয়ায়, দেখি কিভাবে তোমরা জমি রাখো বলে শাসিয়ে যায়। এরপর থেকেই ওই জমি বেদখল এবং আমার পরিবারকে উচ্ছেদে বিভিন্ন রকমের হুমকি দিতে থাকে।
এমতাবস্থায় হঠাৎ করে গত মার্চ মাসের ১৬ তারিখে তাঁরা দলবদ্ধ হয়ে আমাদের জমি থেকে বেশকিছু ফলজ গাছ জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায় এবং ঘরবাড়ি ভাংচুরে উদ্যত, সিমানা প্রাচির নির্মাণসহ জমিটি জবরদখল করার চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় এমিলা বেগম শেরপুর থানাকে অবগত করলে পুলিশ আসার পর চলে যায় তাঁরা। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এ ঘটনায় সোবাহান ও তাঁর ছেলেরা রাগান্বিত হয়ে পূণরায় হামলা চালায়।
এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী সোবহান ও তাঁর ছেলেদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারার যার মামলা নং ১৮৫ পি/২৫ দায়ের করা হয়। আদালত শেরপুর থানা উপর উভয়পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং কোর্টের আদেশ মান্য করার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু মামলা চলমান অবস্থায় গত ৩০ জুন স্থানীয় সার্ভেয়ার খোকনকে নিয়ে এসে নিজেরাই জমির মনগোড়া পরিমাপ করে আবারও জোরপূর্বক প্রাচির নির্মাণ শুরু করে সোবাহান গং।
এ সময় অসহায় ভুক্তভোগীর পরিবার প্রাচির নির্মাণে বাধা দেয় এবং আবারও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শেরপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো: এরশাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসে প্রাচীর নির্মাণ বন্ধ করে দেন।
এ ঘটনার আক্রোশে চলতি মাসের ১লা তারিখে অভিযুক্তরা এমিলার উপর আবারও হামলা করে।
বিষয়টি তাঁরা তৎক্ষণাৎ থানা পুলিশকে অবগত করেছেন বলে জানান।
এমিলা আরও বলেন, এত কিছুতেও ক্ষান্ত হয়নি সোবাহান ও তাঁর ছেলেরা। গত ৩রা জুলাই তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে পূণরায় প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করে সুযোগ সন্ধানী সোবাহান গং।
এসময় তার দুই মেয়ে এবং ছেলের বউ বাধা প্রদান করলে অভিযুক্তরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে মারধর শুরু করে।
তাদের আর্ত চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তাঁরা। এমতাবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন এমিলা বেগমের পরিবার।
থানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এমিলা বেগমের দায়ের করা অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে
৭/১৭ ধারায় প্রসিকিউশন দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।